তৃতীয় অধ্যায় পাঠ -১৭- রেজিস্টার এবং কাউন্টার।

তৃতীয় অধ্যায় পাঠ -১৭- রেজিস্টার এবং কাউন্টার।

  • রেজিস্টারের প্রকারভেদ-
    গঠন অনুসারে রেজিস্টার বিভিন্ন প্রকার হতে পারে। যথা:
    ১. প্যারালাল লোড রেজিস্টার 
    ২. শিফ্ট রেজিস্টার 
    কাজের প্রকৃতি অনুসারে রেজিস্টার বিভিন্ন প্রকার হতে পারে। যথা:
    ১. অ্যাকিউমুলেটর রেজিস্টার 
    ২. সাধারণ রেজিস্টার 
    ৩. বিশেষ রেজিস্টার 
প্যারালাল লোড রেজিস্টার: একটি সাধারণ প্যারালাল লোড রেজিস্টার বা বাফার রেজিস্টারের ব্লক ডায়াগ্রাম দেখানো হলো। এটি ৪ বিটের বাইনারি তথ্য সংরক্ষণ করতে পারে। প্যারালাল লোড রেজিস্টার হলো এমন এক ধরনের রেজিস্টার যেখানে একটি কমন পালস্ সিস্টেম থাকে। কমন পালসের যেকোনো একটি টার্মিনাল পাল্স পাবার সাথে সাথে সবগুলো রেজিস্টার সক্রিয় হয় এবং তথ্য ধারণ করে।
শিফ্ট রেজিস্টারঃ যে রেজিস্টার বাইনারি বিট ধারণের পাশাপাশি ধারনকৃত বিটকে ডানদিকে বা বামদিকে বা উভয় দিকে সরাতে পারে তাকে শিফ্ট রেজিস্টার বলে। শিফট রেজিস্টারে ফ্লিফ-ফ্লপগুলো চেইন আকারে একটির আউটপুট আরেকটির ইনপুটের সাথে সংযুক্ত থাকে। একটি কমন পাল্সের মাধ্যমে সব ফ্লিপ-ফ্লপ ইনপুট গ্রহণ করে এক স্টেট হতে অপর স্টেটে ডেটা শিফটিং এর কাজ করে।
রেজিস্টারের ব্যবহারঃ রেজিস্টার হলো CPU এর অন্তর্গত সঞ্চয় ব্যবস্থা। এতে তথ্য বা নির্দেশ সাময়িকভাবে সঞ্চিত রাখা যায়। রেজিস্টারে প্রোগ্রামার কোনো কিছু জমা রাখতে পারে না, একমাত্র CPU-ই গণনার প্রয়োজনে রেজিস্টারে কোনো কিছু সঞ্চিত রাখতে পারে। রেজিস্টারের গঠন প্রধান মেমরির অনুরূপ। বিভিন্ন ধরনের প্রিন্টারে রেজিস্টার ব্যবহৃত হয়, কী-বোর্ড বাফারে ব্যবহৃত হয়।
কাউন্টারঃ কাউন্টার হলো এমন একটি সিকুয়েন্সিয়াল ডিজিটাল ইলেকট্রনিক্স সার্কিট যা  ফ্লিপ-ফ্লপ এবং লজিক গেইট দিয়ে গঠিত এবং তাতে দেয়া ইনপুট পালসের সংখ্যা গুণতে পারে। যে কাউন্টার বাইনারি সিকুয়েন্স অনুসরণ করে তাকে বাইনারি কাউন্টার বলে। একটি কাউন্টার কত থেকে
কত গণনা করবে তা কাউন্টার এর ডিজাইনের উপর নির্ভর করে। সুতরাং, একটি n বিট বাইনারি কাউন্টার 0 থেকে 2-1 পর্যন্ত পর্যায়ক্রমিক গুণতে পারে।
মোড নাম্বার/মডিউলাসঃ  কাউন্টারের মোড নাম্বার বা মডিউলাস হলো কাউন্টারটি সর্বো‛চ কত সংখ্যা গুণতে পারে। যদি কোনোএকটি কাউন্টারের বিট সংখ্যা n হয় তবে এটি n টি ফ্লিপ-ফ্লপ নিয়ে তৈরি হবে এবং তা সিকুয়েন্সিয়াল বা ধারাবাহিকভাবে 0 থেকে 2-1 সংখ্যক সংখ্যা গণনা করতে পারবে। অর্থাৎ n বিট কাউন্টারের মডিউলাস সংখ্যা 2n। তবে কাউন্টারের ফ্লিপ-ফ্লপের সংখ্যা হ্রাস-বৃদ্ধি করে মডিউলাসের সংখ্যা হ্রাস-বৃদ্ধি করা যায়।
কাউন্টারের প্রকারভেদ:
কাউন্টারের ব্যবহার:
  • ১. ক্লক পালসের সংখ্যা গণনার জন্য
    ২. টাইমিং সিগন্যাল প্রদানের জন্য
    ৩. ডিজিটাল কম্পিউটারে
    ৪. ডিজিটাল ঘড়িতে
    ৫. বৈদ্যুতিক স্পন্দন গণনার ক্ষেত্রে
    ৬. প্যারালাল ডেটাকে সিরিয়াল ডেটায় রূপান্তর করতে।

Post a Comment

0 Comments
Post a Comment (0)
To Top