তৃতীয় অধ্যায় পাঠ-১৫ এনকোডার এবং ডিকোডার।

তৃতীয় অধ্যায় পাঠ-১৫ এনকোডার এবং ডিকোডার।

এই পাঠ শেষে যা যা শিখতে পারবে-

  • ১। এনকোডার সম্পর্কে ব্যাখ্যা করতে পারবে।
  • ২। এনকোডারের ব্যবহার বর্ণনা করতে পারবে।
  • ৩। ডিকোডার সম্পর্কে ব্যাখ্যা করতে পারবে।
  • ৪। ডিকোডারের ব্যবহার বর্ণনা করতে পারবে।
  • ৫। এনকোডার এবং ডিকোডারের মধ্যে পার্থক্য করতে পারবে।

এনকোডার: এনকোডার এক ধরনের সমবায় সার্কিট বা ডিজিটাল বর্তনী যা মানুষের ব্যবহৃত ভাষাকে কম্পিউটারের বোধগম্য যান্ত্রিক ভাষায় রূপান্তর করে। এ বর্তনীর 2n  সংখ্যক ইনপুট থেকে সর্বাধিক n সংখ্যক আউটপুট লাইন পাওয়া যায়। যেকোনো মুহূর্তে একটি মাত্র ইনপুট ১ এবং বাকি সব ইনপুট ০ থাকে । এনকোডার সাধারণত ইনপুট ডিভাইস অর্থাৎ কী-বোর্ডের সাথে যুক্ত থাকে।

8-to-3 এনকোডার:







চিত্র: 8-to-3 এনকোডারের ব্লক চিত্র।









সত্যক সারণির ইনপুটের সাপেক্ষে আউটপুট ফাংশনসমূহ- 
  • A=Q4+Q5+Q6+Q7
  • B=Q2+Q3+Q6+Q7
  • C=Q1+Q3+Q5+Q7
আউটপুট ফাংশনের লজিক সার্কিটঃ  









এনকোডারের ব্যবহার:
  • ১। এনকোডার আলফানিউমেরিক কোডকে ASCII ও EBCDIC কোডে রূপান্তর করে।
  • ২। দশমিক সংখ্যাকে বিভিন্ন কোডে রূপান্তর করে।
  • ৩। এনকোডারের সাহায্যে দশমিক সংখ্যাকে সমতুল্য বাইনারি সংখ্যায় রূপান্তর করে।
4-to-2 লাইন এনকোডারের সার্কিট আঁক।  
ডিকোডারঃ ডিকোডার এক ধরনের সমবায় সার্কিট বা ডিজিটাল বর্তনী যা কম্পিউটারের বোধগম্য যান্ত্রিক ভাষাকে মানুষের ব্যবহৃত ভাষায় রূপান্তরিত করে। এ বর্তনীর n সংখ্যক ইনপুট থেকে সর্বাধিক 2n সংখ্যক আউটপুট লাইন পাওয়া যায়। যে কোনো একটি আউটপুট লাইনের মান ১ হলে বাকি সবগুলো আউটপুট লাইনের মান ০ হবে। কখন কোনো আউটপুট লাইনের মান ১ হবে তা নির্ভর করে ইনপুটগুলোর মানের উপর। ডিকোডার সাধারণত আউটপুট ডিভাইস অর্থাৎ ডিসপ্লে ইউনিটের সাথে যুক্ত থাকে।





চিত্র: 3-to-8 ডিকোডারের ব্লক চিত্র।

3-to-8 ডিকোডারের সত্যক সারণিঃ








সত্যক সারণির ইনপুটের সাপেক্ষে আউটপুট ফাংশনসমূহ- 
আউটপুট ফাংশনের লজিক সার্কিটঃ  












ডিকোডারের ব্যবহার:
  • ১। কম্পিউটারে ব্যবহৃত ভাষাকে মানুষের বোধগম্য ভাষায় রূপান্তর করে।
  • ২। জটিল কোডকে সহজ কোডে রূপান্তর করে।
  • ৩। ডিকোডার ব্যবহৃত হয় ডিসপ্লে ইউনিটে।
  • ৪। ডিকোডারের সাহায্যে বাইনারি সংখ্যাকে সমতুল্য দশমিক সংখ্যায় রূপান্তর করা হয়।
2-to-4 লাইন ডিকোডারের সার্কিট আঁক।  
এনকোডার ও ডিকোডারের মধ্যে পার্থক্যঃ 
এনকোডারডিকোডার
এনকোডার এক ধরনের সমবায় সার্কিট বা ডিজিটাল বর্তনী যা মানুষের ব্যবহৃত ভাষাকে কম্পিউটারের বোধগম্য যান্ত্রিক ভাষায় রূপান্তর করে।ডিকোডার এক ধরনের সমবায় সার্কিট বা ডিজিটাল বর্তনী যা কম্পিউটারের বোধগম্য যান্ত্রিক ভাষাকে মানুষের ব্যবহৃত ভাষায় রূপান্তরিত করে।
এ বর্তনীর 2n  সংখ্যক ইনপুট থেকে সর্বাধিক n সংখ্যক আউটপুট লাইন পাওয়া যায়।এ বর্তনীর n সংখ্যক ইনপুট থেকে সর্বাধিক 2n সংখ্যক আউটপুট লাইন পাওয়া যায়।
যেকোনো মুহূর্তে একটি মাত্র ইনপুট ১ এবং বাকি সব ইনপুট ০ থাকে ।যে কোনো একটি আউটপুট লাইনের মান ১ হলে বাকি সবগুলো আউটপুট লাইনের মান ০ হবে।
এনকোডার সাধারণত ইনপুট ডিভাইস অর্থাৎ কী-বোর্ডের সাথে যুক্ত থাকে।ডিকোডার সাধারণত আউটপুট ডিভাইস অর্থাৎ ডিসপ্লে ইউনিটের সাথে যুক্ত থাকে।
উদাহরণঃ 8-to-3 লাইন এনকোডার।উদাহরণঃ 3-to-8 লাইন ডিকোডার।

পাঠ মূল্যায়ন-

  • ক। এনকোডার কী?
  • ক। ডিকোডার কী?
  • খ। যান্ত্রিক ভাষাকে মানুষের ভাষায় বোঝানোর উপযোগী লজিক সার্কিটটি ব্যাখ্যা কর।
  • খ। মানুষের ভাষাকে যান্ত্রিক ভাষায় বোঝানোর উপযোগী লজিক সার্কিটটি ব্যাখ্যা কর।
  • খ। এনকোডার ডিকোডারের বিপরীত- ব্যাখ্যা কর।

উদ্দীপক অনুসারে প্রশ্নের উত্তর দাওঃ
আইসিটি শিক্ষক ক্লাসে ছাত্রদের বললেন, কম্পিউটার A কে সরাসরি বুঝতে পারে না বরং একে একটি লজিক সার্কিটের সাহায্যে ৮ বিটের বিশেষ সংকেতে করে বুঝে থাকে। তিনি আরো বললেন, উক্ত সংকেতায়ন পদ্ধতিতে বাংলা কম্পিউটারকে বোঝানো যায় না। এজন্য ভিন্ন একটি সংকেতায়ন পদ্ধতির প্রয়োজন হয়।
গ। উদ্দীপকে উল্লিখিত লজিক সার্কিটটি বর্ণনা কর।

Post a Comment

0 Comments
Post a Comment (0)
To Top